মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৪

' The Man in the Hathway Shirt' Advertising by Ogilvy

' Every advertisement must be considered as a contribution to the complex symbol which is the brand image...I am astonished to find how many manufacturers, even among the new generation, believe that women can be persuaded by LOGIC and ARGUMENT to buy one brand in preference to another- even when the two brands are technically identical...
' The manufacturers who dedicate their advertising to building the most favorable image, the most sharply defined personality for their brands are the ones who will get the largest share of these markets at the highest profit in the long run'- (Speech by Ogilvy )

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪

ব্খাটে হাওয়া!

ব্খাটে হাওয়া টেনে নিছেচ মেয়েটির উড়্না
লজ্জায় চ্শমা পড়ে ভ্দ্র ছেলে

The dey day

আজ Mondey 
কাল মঙ্গল হবে

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩

নী! নীতা এবং নীয়তি

পেছনে ডালপালা, শিকড় ছড়ানো এক বিশাল কৃষ্ণ চুড়া গাছ। গাছের তলা দিয়ে হেঁটে আসছে শ্যামলা একটি মেয়ে। ভাবুনতো দেখতে কেমন লাগছে। শ্যামলা মেয়েটির পেছনে কৃষ্ণ চুড়ার লাল ফুলগুলো কি সুন্দরই না লাগছে। পরনে কুচি দেওয়া দেশি তাতের শাড়ী, চুলটা যেমন তেমন করে বাঁধা, নারীসুলভ প্রসাধনীর লেশমাত্র নেই। মুখটাশুকনো। টিউশনি সেরে সে বাড়ি ফিরছে। হাতে একটি পলিথিনের ব্যাগ একটু তেলে চ্যাপচ্যাপা। হয়তো পুরি কিংবা পিয়াজু হবে। বাসায় বাবা রিটায়ার্ড হয়ে বিকাল বেলা চায়ের সাথে এগুলো খেতে পচ্ছন্দ করে। মেয়েটির হাঁটা  হঠাৎ থেমে গেলো। কাকে দেখে?
মাথা ‍নিচু করে তাকাতেই দেখতে পায় স্যান্ডেলের বাম পায়ের ফিতাটি ছিড়ে গেলো! মাসের শেষ নতুন স্যান্ডেল এখন কিভাবে কিনবে; কিনার কথা ভাবতেই পারেনা। সেফটি পিন দিয়ে স্ট্র্যাপ আটকে সামান্য পা হেচড়ে হেচড়ে বাড়ীর দিকে হাঁটা শুরু করলো মেয়েটা। বাড়ীর জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনে বাড়ী যেতে হবে। বাড়ীতে আরো দুইজন বসে আছে পড়ার জন্য।
মেয়েটির নাম ‘নীতা, নী, কিংবা বাঙালীর নীয়তি’।
‘মেঘে ঢাকা তারা’-র নীতার কথাই চোখের সামনে ভেসে আসলোতো।
ঠিকিই ধরেছেন, ওকে কিংবা পাশের বাড়ীর নীতা কে এই মেয়েটিরে সাথে বসিয়ে দিতে পারেন। বাঙালী জীবনের স্ট্রাগলের প্রতীক ছিলো এই নীতা কিংবা নী।

( আর হয় না....)

চারা গল্প (১)

মধ্যরাত চারিদিকে কেমন যেনো শুনশান নিরবতা। কিছুই দেখা যাচ্ছেনা অন্ধকার। তবুও চেয়ে আসে সে এপাশ ওপাশ ‍বিছানায়। হিসেব মিলাতে পারছেনা কিভাবে, কখন? এতোদিন পরে কেনইবা!! ইত্যাদি ইত্যাদি। ঘুম আসছে না আজ। বিছনা থেকে ‍উঠে বারান্দায় গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে শিহাব। মসে আজ খুব খুশি তাই আকাশ ভালো লাগে, তারা ভালো লাগছে। পাশের বিল্ডিংটির ছাদের দিকে তাকাতেই একটু খটকা লাগলো শিহাবের। কিছু একটা দেখলো মনে হয়। চাদের আলোয় যতটুকু সেটা দিয়ে আর চেহারা দেখা যায়না। তবুও কাউকেতো দেখেছে সে। কার্নিশ বেয়ে হেটে গেলো। আচলটা মাটি হেচড়ে বেয়ে চলছে। বলিহারি কোথায় গেলো’রে বাবা’ শিহাব খুজতে লাগলো। সুইসাইড-ফুইসাইড নাতো আবার’ দেখিতো। নিজের বারান্দায় এপাশ থেকে অন্যপাশ খুজতে লাগলো। মেঘের চাপায় চাদের আলো শিহাবও হতাশ হয়ে ‘যাক কিছু একটা হলোতো কাল শুনতেই পাবো’ আজ ঘুমাই কাল আবার বাইরে এসাইনমেইন্ট। পরেরদিন সকালে আফিসে যাবার জন্য বাইরে বের হতেই শিহাব বিল্ডিংটির দিকে একবার তাকায় ‘রাতে কিছু একটা যে হয়েছে দেখেতো কিছুই মনে হচ্ছে না। অফিসের ডেক্সে বসে আছে শিহাব। আজ একটু তাড়াতাড়ি মনে হচ্ছে। ব্যাগ থেকে ক্যামেরাটি ডেক্সে রেখে। কাজের আজকের বিষয়বস্তুগুলো ঝালিয়ে নিচ্ছে শিহাবের একহাতে কাগজ আর অন্য হতে কফির মগ। ক্রিং ক্রিং.. কফির কাপটি রেখে ফোনটি ধরেতেই একটু অবাক হয়ে যায় কি! আমার কাছে..নাম বলেছে? বসতে বলো আমি আসছি। কফির কাপে একটু চুমুক দিয়ে রিসিপশনের দিকে যেতে থাকলো শিহাব। এমন অবাক হবে শিহাব নিজেও ভাবেনি। কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছে আজ যে সকাল বেলাই নীরা’কে দেখবে। নীরা’ শিহাবের পড়ালেখার জীবনের প্রেমিকা এক সঙ্গে যখন পড়তো ওদের মাঝে প্রেম ছিল সবাই বলতো। নীরা মাঝে মাঝে শিহাবকে ‘বলে নাকি?!” শিহাব যখন এ্রই চাপা সত্যটি নীরাকে প্রায়ই জানাতো‘ সবাই বলে তর আর আমার নাকি প্রেম হয়ে যাচ্ছে হা!...’ হাসিটা দিয়েই বামদিকে তাকাতো রিকশা থেকে। হাসিটি ম্ল্যান হয়ে যায় শিহাবের। কতো ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছে লাভ হয়েনি, তারপর কতোদিন কেটেছে কেউ কারো খবর নেওয়া হয়নি। আজ আবার সেই নীরা কে দেখতে পেয়ে একটু অবাক এবং সারপ্রাইজ লাগছে শিহাবের। ‘একটু বের হতে পারবি তর সাথে একটু কথা আছে’নীরা শিহাব’কে বলছে, ‘ক্যান্টিনে চল’ শিহাব বলে, ‘না একটু বাইরে যেতে হবে ক্যাম্পাসে, ক্যান্টিনে শেষ হবে না’। নীরা কে বসতে বলে নিজের ডেক্সের দিছে ছুটতে থাকে শিহাব, এতোদিন পরে নীরা...। কফির মগে একটা চুমুক দিয়ে ক্যামেরাটা ব্যাগে ভরেই নীরা সামনে হাজির ফুরুৎ করে। চল। আফিসের নিচে রিকশার জন্য দাড়িয়ে আছে শিহাব আর নীরা। একটা রিক্সা নিয়ে সোজা ক্যাম্পাদের দিকে ছুটতে থাকলো। কি বলবি?’ শিহাবের প্রথম প্রশ্ন। কেমস আছিস? নীরা শান্ত গলায় শিহাব কে প্রশ্নটি ছুড়ে দিতেই নীরার দিকে তাকিয়ে উত্তর দেয় ‘ভালো’। ও মাই গড!!! নীরা চৌধুরী!!! কতো বদলে গেছিস’ আমার প্রশ্নের উত্তর দিলিনাতো নীরা বলে শিহাবকে। ভালো...সহজ উত্তর শিহাবের। তুই’ দেখছিস না কেমন আছি’ নীরা উত্তর দেয় শিহাবকে। তা বিয়ের পরে শাড়ী পরতে শুরু করেছিস না আমার কথাটি মনে আছে বলে পরে এসেছিস’ শিহাব একটু ভনিতার ছলেই প্রশ্ন করে। না, তর কথা মনে আছে বলেই পরে এসেছি, তর দেওয়া সেই বেবি পিংক জামদানি শাড়ীটি,’ নীরা কথাগুলো শুনতে পেয়ে একটু অবাক চোখে তাকায় ওর দিকে। কেমন যেনো মায়া হচ্ছে আজ শিহাবের সেই মায় আট বছর আগের। নীরা চোখদুটি কেমন যেনো বদলে গেছে। ‘মনে হয় অনেক দিনও ঘুমায় না। ‘এই, কি হয়ছে তোর এদিন পরে বলা নেই কওয়া নেই হুট করে আফিসে’ শিহাব জানতে চায় নীরার কাছে। রিকসা ততক্ষনে দোয়েল চত্তর পার করে টিএসসি দিকে যাবে হঠাৎ নীরা শিহাবকে বলে আমাদের সেই যায়গাটিতে নিয়ে চল যেখানে আমার আড্ডা দিতাম। শিহাব রিক্সাওয়ালাকে মেডিকেলের দিকে ঘুরাতে বলে। সরি বলতে এসেছি’ নীরা শিহাব কে বলে, ঐযে ঐ গাছটার নিচে বসতাম। রিকসাওয়ালাকে থামতে বলে। ভাড়াদিয়ে বসতেই রিকসাওয়ালা শিহাবের দিকে কেমন যেনো একটু অবাক হয়ে তাকায়।  কথা চলছে দুজনের মাঝে। তর সব কথাই আমি শুনেছি কিন্তু একটা বিষয় আমি বার বার তখন বুঝেও এড়িয়ে গিয়েছি’ আমাকে ভালোবাসার কথা, নানা ভাবে বলার চেষ্ট করেছিস আমি বুঝেও তোকে এড়িয়ে গিয়েছে না বুঝার ভান করে’।
‘থাক না এসব’- শিহাব কথাটা বলেই বাদামের প্যাকেটটি বাড়িয়ে দেয় নীরার দিকে।
বাদাম খাওয়ার অভ্যাসটা এখানো আছে দেখছিতোর’ শিহাবের কথায় কথায় নীরা একটু হেসে উত্তর দেয় ‘অভ্যাস কথনো চেঞ্জ হয়না, চেঞ্জ হয় শুধু সময়, পিপলস্ নেভার চেঞ্জ’
‘থাক থাক তোর আর ফিলোসফি মারতে হবেনা। এতোদিন পরে হুট করে এসেছিস আমার আফিসটাকে বাং মারতে। চল ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খাই’-বলেই শিহাব ব্যাগটা হাতে নিয়ে হাটতে আরম্ভ করে।
না থাক আজকে খাবনা আরেকদিন- নীরা না করাতে থেমে যায় শিহাব।
সবকিছু কেমন যেনো লাগছে আজকে শিহাবের িকোন হিসেব মিলাতে পারছেনা, ‘কেনেই বা এতোদিন পরে এসব হচ্ছে। ভালোইতো ছিলাম। আবার কেনো! সেই কবেকার কথা, এতো দিন পরে’-মনে মনে কথাগুলো ভাবছে। নীরা চলে যাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। শীহাব ও আটকায়না। বেলা প্রায় শেষ একটু পরেই সূর্য বিদায় নেবে নাগরীক জীবন থেকে। কিভা্বেই ওকে আর বলি আর একটু থাক না পাশে। এখনতো আর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় নেই। ওর ঘর আছে আছে নানান দায়বদ্ধতা। নীরা চলে যাবার পরেও কেনো এলো কিভা্ব গেলো, ‍ইশ! ফোন নাম্বারটিও রাখা হয়নি!, ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে গেলো শিহাব। বাসায় কাজের ছেলেটাকে চা বানাতে বলে শিহাব ফ্রেশ হবার জন্য বাথরুমে যায়। ফ্রেশ হয়ে মাথা মুছতে মুছতে শিহাব কাজের ছেলেটাকে চা কথা জিজ্ঞাস করেতেই টেবিল দেখিয়ে দেয়। কাছের ছেলেটি টিভি দেখছিলো। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে টিভির সামনে এসে শিহাব একটি নিউজ দেখতেই হাত থেকে চায়ের কাপটি মাটিতে পড়ে যায়। কাজের ছেলেটি একটু হতভম্ব হয়ে পিছনে তাকায়। ‘নিউজে রিপোর্টে দেখাচ্ছিলো ‘হাজবেন্ডের নির্মম অত্যাচারে প্রাণ হারালো গৃহবধু, গতকাল রাতে চারটার দিকে এই ঘটানায় রমনা থানার পুলিশ...’ইনসেটে নীরার ছবি। কথাগুলো পাগলাগারদের জানালার শিক ধেরে বলছিলো শিহাব। আজ তার শেষ দিন। এই পাগলাগারদ থেকে মুক্তিপাবার। সেই দিনের পরে আজ প্রথম শিহাবকে সুস্থ মনে হচ্ছে। ডাক্তার শিহাবের কাধে হাত রেখে সান্তনা দিচ্ছিলেন।

চারা কবিতা

প্রচন্ড ধাঁধা মনে হয়
বাধা এই জীবনটাকে
ক্ষতবিক্ষত হার্ট
গ্যাস নেয় নিকোটিনের পাম্পে।

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩

(একটি পড়ে যাওয়া কবিতা)

চুল পরে পাতাও পরে
তোমার কথা মনে পড়ে